জন্মনিবন্ধন/এনআইডি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা

 জন্মনিবন্ধন/এনআইডি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে এমন একটি অ্যাপ ও সফটওয়্যার তৈরি করা হবে, যেখানে জীবন বৃত্তান্তের পাশাপাশি একজন ব্যক্তির সব বয়সের সব রোগের হিস্টোরি জমা থাকবে এবং সেটা ক্রমান্বয়ে আপডেট হতে থাকবে। হিস্টোরি জমা থাকলে রোগীর রোগ নির্ণয় পদ্ধতি সহজ ও তুলনামূলক সঠিক হবে।

‘থাকবে যেসব সুবিধা’

জন্মনিবন্ধন/এনআইডি কার্ডে একজন ব্যক্তির সব বয়সের সব রোগের হিস্টোরি জমা থাকবে এবং সেটা ক্রমান্বয়ে আপডেট হতে থাকবে।

রোগের হিস্টোরি জমা থাকলে নতুন রোগ নির্ণয় সহজ হবে এবং অপ্রয়োজনীয় টেস্ট করাতে হবে না।

জন্মনিবন্ধন/এনআইডি কার্ড ব্যবহারের ফলে আলাদা কোনো কার্ডের প্রয়োজন হবে না এবং কার্ডের জন্য কোনো ফি প্রদান করতে হবে না।

একজন রোগী খুব সহজেই ঘরে বসে চিকিৎসকের অ্যাপয়েনমেন্ট নিতে পারবেন, টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে পারবে। ভিডিওকলের ব্যবস্থা থাকবে।

চিকিৎসক কোন রোগে কী কী ওষুধ দিয়েছেন, তা সফটওয়্যারে জমা থাকবে। ফলে একজন চিকিৎসক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সচেতন থাকবেন।

জন্মনিবন্ধন/এনআইডি কার্ড ব্যবহারের ফলে আলাদা কোনো কার্ডের প্রয়োজন হবে না এবং কার্ডের জন্য কোনো ফি প্রদান করতে হবে না।

যেকোনো সরকারি হাসপাতালে টেস্ট করালেও, প্রিন্ট কপির পাশাপাশি রোগীর প্রোফাইলে সব ফাইল যুক্ত করা থাকবে। অ্যাপস ব্যবহারকারী নিজেও ছবি/পিডিএফ ফাইল যুক্ত করতে পারবেন। 

দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে চাইলে খুব সহজেই প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট ডাউনলোড দেওয়া যাবে।

স্থান পরিবর্তন হলেও যেকোনো সরকারি হাসপাতাল থেকে জন্মনিবন্ধন/এনআইডি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা নেওয়া যাবে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় দপ্তরে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা, হিস্টোরি, রোগের ধরনসহ যাবতীয় তথ্যাদি জমা হবে। ফলে চিকিৎসা-ব্যবস্থার উন্নয়নে এই সফটওয়্যার ভূমিকা পালন করবে।

ঔষধ কোম্পানিগুলো চলমান রোগের তথ্য, রোগীর সংখ্যা, রোগাক্রমন এলাকা সম্পর্কে জানতে পারবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির দিকনির্দেশনা পাবে।

ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন হবে। কেন্দ্রীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি হবে।

 প্রত্যেক নাগরিক জন্মনিবন্ধন/এনআইডি কার্ডের কপি সঙ্গে রাখা শুরু করবে। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় তাদের খুব সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।

 একজন চিকিৎসক যদি মনে করেন তিনি কোনো রোগীকে ভুল চিকিৎসা দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে রোগীর প্রোফাইল চেক করে সেটির সংশোধনের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

চিকিৎসকদের পাশাপাশি মেডিক্যালে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা রোগ এবং রোগীকে নিয়ে গবেষণার সুবিধা পাবেন।

কোনো ব্যক্তি-মালিকানায় নয়, রাষ্ট্রীয় দপ্তরে সকল ডাটা আর্কাইভ হবে। কোনো রোগ/রোগী নিয়ে আলাদা করে জরিপ করতে হবে না।

জন্মনিবন্ধন/এনআইডি কার্ডের ব্যাবহারের ফলে কেউ ভুল তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। এতে সঠিক মানুষের ডাটাবেইস তৈরি হবে।

সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের এডমিন প্যানেলেরে কাছে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা, হিস্টোরি, রোগের ধরন এবং অ্যাপসের মাধ্যমে আয়ের তথ্যসহ যাবতীয় তথ্যাদি জমা হবে।

সর্বোপরি জন্মনিবন্ধন/এনআইডি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা-ব্যয় কমে আসবে এবং নিজেদের রোগের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। এমনকি দেশের সার্বিক চিকিৎসা-ব্যবস্থার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।